গ্রামটি নাজিরপুর ইউনিয়নের বিলপাড়া। গ্রামের দরিদ্র পরিবারের বধু তাসলিমা খাতুন। এক ছেলে, এক মেয়ে ও প্রতিবন্ধী স্বামী নিয়ে অনেক কষ্টে কাটতো তাদের সংসার। স্বামী সুবিধামত কাজ পেলে করত। সে সংসারের কাজের ফাকেঁ করত অন্য মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ। সে চিন্তা করল তার কাজের পাশা পাশি নিজ উদ্যোগে কিছু করবে। একদিন সে তার প্রতিবেশী মহিলা মেম্বর রুবিয়ার সরনাপন্ন হয়। তার পরামর্শ অনুযায়ী হিমাইতপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন সমাজকর্মীর সাথে যোগযোগ করে উপজেলা সমাজসেবা অফিস হতে প্রথমে ২০১৬ সালে ১০,০০০/- টাকা ঋণ নেয়। নিজের গচ্ছিত আরও কিছু টাকা যুক্ত করে সে রয়েল প্লাগ তৈরীর একটি মেশিন কেনে। নিজ ঘরেই স্থাপন করে মেশিনটি । সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল। মেশিন দিয়ে নিজে এবং প্রতিবন্ধী স্বামী আপ্তার আলী শুরু করে রয়েল পিন তৈরী। রয়েল পিন দোকানে সাপ্লাই দিয়ে দিয়ে সে প্রতি মাসে আয় করে মাসিক প্রথম পর্যায়ে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে সে আবারও ঋণ নেয়। নিজের সম্বল এবং সমাজসেবার সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে সে তার ব্যবসার মূলধন বৃদ্ধি করে। বর্তমানে তার মাসিক আয় প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকায় দাড়িয়েছে। বর্তমানে তার সে ও তার পরিবার অনেক খুশি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস